প্রতিটি জাতির ইতিহাসেই এমন কিছু সন্ধিক্ষণ থাকে যা সেই জাতির গতিপথ পালটে দেয়। ২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশের ইতিহাসে তেমনই একটি মাইলফলক।
জন্মলগ্ন থেকেই জাতি হিসাবে বাংলাদেশিদের মাঝে একাধিক আত্মপরিচয় বিদ্যমান। একদিকে বাঙালি চেতনার জাতীয়করণ যা কলকাতাকেন্দ্রিক বাঙ্গালিয়ানা দ্বারা প্রভাবিত। অপরদিকে ইসলামি চেতনা যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম গোষ্ঠীর সামষ্টিক পরিচয় থেকে উদ্ভুত। ক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে বাঙালি চেতনার ধারক ও বাহকেরা প্রায়ই তাদের পৌত্তলিকতাপ্রিয় ও ইসলামবিদ্বেষী মতাদর্শকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধাপরাধী চরিত্রের উদ্দেশ্যমূলক ইসলামিকরণ, সংস্কৃতির মোড়কে পৌত্তলিক আচার-প্রথার প্রচলন থেকে শুরু করে বাকস্বাধীনতার অজুহাতে ঘৃণ্যভাষায় ইসলামকে আক্রমণ – কোনো হীন উপায় ব্যবহারেই তারা পিছ-পা হয়নি। অবশেষে এসবের বিরুদ্ধে মুসলিম গোষ্ঠীর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদকে পাক হানাদার বাহিনীর আদলে সহিংসভাবে আক্রমণ করে এই সামাজিক মিথস্ক্রিয়াকে এমন এক সংঘাতের রূপ দিয়েছে যা বাংলাদেশি জাতিসত্তার ভবিষ্যত পরিচয়কে রুপদানে কেন্দ্রীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।
এই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার ৫ বছর পূর্তিতে এই চরম মুহূর্তটিতে পৌঁছানোর ইতিহাস, ঘটনাপ্রবাহ এবং এর ফলাফল ও প্রভাব নিয়ে আমরা কথা বলেছি এই সংঘাতে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিদ্বেষ ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েও হার না মানা একজন সক্রিয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব লালখান বাজারের ঐতিহ্যবাহী জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মুফতি হারুন ইজহার সাহেবের সাথে।
দি মুসলিম গ্লাস পডকাস্টের ৭ম পর্ব, ‘ফিরে দেখা ৫ মে, ২০১৩’ শুনতে ও ছড়িয়ে দিতে আপনাদের আমন্ত্রণ।
অতিথি- মুফতি Harun Izhar