“দি মুসলিম গ্লাস পডকাস্ট” কী এবং কেন?

আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন মুসলিম গ্লাস কি, পডকাস্টই বা কি জিনিস? শুরুতেই আপনাদের কৌতুহল নিবারণ করা যাক।

ইদানিং প্রায়ই এমন হচ্ছে যে, একদল যেটাকে স্মার্টনেস বলছে আরেক দল বলছে অশ্লীলতা। কারো কাছে যা চেতনা, তা অনেকের কাছে ধোকাবাজি ছাড়া কিছুই না। এরকম অনেক ইস্যুতেই দেখা যাচ্ছে, একই ঘটনাকে একেক জন একেকভাবে দেখছে।

আমাদের এই প্রোগ্রামে আমরা ঘটনাগুলোকে দেখব মুসলিমদের চোখ দিয়ে, ইসলামের চশমা দিয়ে। আজকের দিনে ইসলাম মেনে চলা মুসলিমরা কীভাবে চারপাশে ঘটা ঘটনাগুলোকে বিশ্লেষণ করে, গ্রহণ বা বর্জন করে, কীভাবে রি-অ্যাক্ট করে, মোটকথা কীভাবে একজন মানুষ সচেতনভাবে ইসলামকে তার জীবনে সত্য মেনে মুসলিম চশমা দিয়ে পৃথিবীকে গ্রহণ করে সেটাকে ঘিরেই আমাদের এই আয়োজন।

এ তো গেল মুসলিম গ্লাসের কথা, এবার পডকাস্টে আসা যাক। পডকাস্টের ধারণাটি বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে মোটামোটি অচেনাই বলা চলে। এক কথায় বললে, পডকাস্ট হচ্ছে টক-শো’র অডিও রূপ। অর্থাৎ, এই টক-শো শোনা যায়, দেখা যায় না। ট্রাফিক জ্যামে ঘর-বসতি করা শহুরে বাঙ্গালির জন্য পডকাস্টের ধারণাকে আলিঙ্গন করে নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। লোকাল বাস থেকে শুরু করে প্রাডো গাড়িতে বসে আপনি পডকাস্ট শুনে সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়ে অর্থহীন মিউজিকে কান আর অন্তরের বারোটা বাজানোর ভালো বিকল্প হতে পারে এই পডকাস্ট, যেটা আপনার চিন্তার জগতকে প্রসারিত করবে।

টক-শো বলে যা আমাদের দেশে চলে সেখানে বুড়ো লোকদের সাজানো ঝগড়া আমাদের চিন্তার খোরাক যোগাতে পারে না। দি মুসলিম গ্লাস পডকাস্টে আমরা কথা বলব তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, বাস্তব সমস্যা ও সমাধান নিয়ে। বাস্তব জগতে এসব সমস্যা মোকাবেলায় এগিয়ে আসা মুসলিমদের নিয়ে , সেসব মুসলিমদের সাথে। বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় মুসলিমদের আমরা আমন্ত্রণ জানাবো, তাদের সাথে কথা বলব মুসলিমদের ইস্যু নিয়ে, আপনাদের করা প্রশ্ন নিয়ে। অর্থাৎ এখানে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে আপনাদেরও। ই-মেইল এবং ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আপনারা আমাদের কিংবা অতিথিদের প্রতি প্রশ্ন রাখতে পারেন, যেসব ইস্যু বা টপিককে আলোচনায় নিয়ে আসা দরকার বলে মনে করেন সেগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারেন।

মোটকথা, একটি কমিউনিটি-ড্রিভেন প্রাণবন্ত ও কর্মমুখী আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরির পথে আমাদের এই যাত্রায় আপনাদের স্বাগতম!